রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন
কাজী মাহমুদুল হক সুজন, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) : গত সোমবার গভীর রাতে ব্রাম্মনবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেল স্টেশনে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাঁও গ্রামের সুজন মিয়া ( ২৪) এর বাড়িতে এখনও চলছে শোখের মাতম।
কিছুতেই যেন তাদের বুঝানো যাচ্ছে না সুজন আর দুনিয়াতে নেই। পাড়া প্রতিবেশি আত্নীয়স্বজনরা তাদের সান্তনা দিতে নিয়মিত বাড়ীতে আসছেন।সুজনের মায়ের আহাজারিতে যেন আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। বার বার অজ্ঞান হচ্ছেন আর বলছেন আমাকে আর ঔষুধ খাওয়াবে কে? আমার সুজনের কি হইছে বলে অজ্ঞান হচ্ছেন।
বুধবার সরজমিনে নিহত সুজনের বাড়ীতে গেলে এমনই দৃশ্য দেখা যায়। ৪ ভাই, ২ বোনের মধ্যে সুজন ছিল সবার ছোট। ৩ ভাই প্রবাসী। গত বছর তার পিতা আব্দুল হাসিম মারা যাওয়ার পর সুজনই পরিবার দেখাশুনা করত। তার চাচা বাচ্ছু মিয়ার চোঁখের পানি যেন শেষ হচ্ছে না। ভাতিজাকে হারিয়ে তিনি শোখে পাথর। আপদে বিপদে সব সময় চাচার কাছে থাকত সুজন।
বড়বোন মনোয়ারা খাতুনও শোখে কাতর।কান্না জড়িত কন্ঠে জানান তার ইচ্ছা ছিল সে উকিল হবে। নামাজ পড়ত নিয়মিত। সে হবিগঞ্জ কোর্টে আইনজীবি সহকারী হিসাবে কাজ করত।
গত মঙ্গলবার বিকালে সুজনের নিতর দেহ বাড়িতে আসার পর বাদ এশা জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাপন করা হয়।
কাজী সুজন